ইরানের পরমাণু বিজ্ঞানীদের যুগান্তকারী আবিষ্কার, কাঁপছে পশ্চিমা বিশ্ব!
রানের পরমাণু বিজ্ঞানীদের যুগান্তকারী আবিষ্কার, কাঁপছে পশ্চিমা বিশ্ব!
ইরানের পরমাণু বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি এমন এক বৈপ্লবিক প্রযুক্তিগত সাফল্য অর্জন করেছেন যা শুধু মধ্যপ্রাচ্য নয়, কাঁপিয়ে দিয়েছে গোটা পশ্চিমা বিশ্বকে। কয়েক দশকের গবেষণা ও নিষেধাজ্ঞার মাঝেও ইরান যে এতোদূর এগিয়ে যেতে পারবে, তা অনেকে কল্পনাও করেননি। এই আবিষ্কার শুধু ইরানের কূটনৈতিক ও প্রতিরক্ষা অবস্থানকে মজবুত করবে না, বরং বিশ্ব রাজনীতিতে নতুন করে মেরুকরণ তৈরি করতে পারে।
কী সেই আবিষ্কার?
ইরানি
রাষ্ট্রীয় সংবাদ
সংস্থা
IRNA এবং
বিজ্ঞান ও
প্রযুক্তি বিষয়ক
মন্ত্রণালয় এক
যৌথ
ঘোষণায়
জানায়,
“ইরানের বিজ্ঞানীরা উচ্চতর
মাত্রার ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণে সক্ষম
হয়েছেন
এবং
তাতে
এমন
এক
স্থিতিশীল আইসোটোপ তৈরি
করেছেন
যা
যুদ্ধক্ষম হাইপার-এনার্জি ফিউশন সিস্টেমে ব্যবহারযোগ্য।”
বিশেষজ্ঞদের মতে,
এটি
পারমাণবিক বোমা
তৈরির
ক্ষেত্রে এক
ধাপ
এগিয়ে
যাওয়ার
সমতুল্য। তবে
ইরান
জোর
দিয়ে
বলছে,
এটি
শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে এবং
চিকিৎসা, জ্বালানি ও
মহাকাশ
গবেষণার জন্য
ব্যবহৃত হবে।
প্রযুক্তিগত দিক: কীভাবে কাজ করে এই আবিষ্কারটি?
এই
নতুন
আবিষ্কারে ইরানি
বিজ্ঞানীরা ৯০%
শুদ্ধতার কাছাকাছি ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণে সফল
হয়েছেন।
এই
মাত্রা
সাধারণত পরমাণু
অস্ত্র
তৈরির
জন্যই
ব্যবহৃত হয়।
তবে
ইরান
দাবি
করছে
তারা
এটি
এক
ধরণের
“পরমাণু ফিউশন রিয়্যাক্টরের ফুয়েল” হিসেবে
উন্নত
করেছে,
যা
হাইপারসনিক প্রযুক্তি বা
মহাকাশযানে প্রয়োগযোগ্য।
তারা
এমন
একটি
বিশেষ
লেজার এনরিচমেন্ট প্রযুক্তি ব্যবহার করেছে
যা
প্রচলিত গ্যাস
সেন্ট্রিফিউজের তুলনায়
৫
গুণ
দ্রুত
কাজ
করে
এবং
৭০%
কম
বিদ্যুৎ খরচে
সম্পন্ন হয়।
এই আবিষ্কারের নেপথ্যে কারা?
এই
যুগান্তকারী সাফল্যের পেছনে
রয়েছেন
ইরানের
সর্বোচ্চ গোপন
বিজ্ঞান গবেষণা
সংস্থা
Institute of Advanced Nuclear
Research (IANR)।
এই
সংস্থার নেতৃত্বে ছিলেন
বিশ্বখ্যাত পদার্থবিদ ড. সাদিক রেজাভি এবং
ড. লায়লা মোহসেনী, যাঁদের
নেতৃত্বে প্রায়
৭০০
বিজ্ঞানী কাজ
করেছেন
বিগত
১০
বছর
ধরে।
তাদের
রিসার্চ প্রজেক্টটির নাম
ছিল:
"Project Nur-9" (নূর-৯)।
পশ্চিমা বিশ্বে তীব্র প্রতিক্রিয়া: কেন এত উদ্বেগ?
ইরানের এই আবিষ্কারের খবরে সবচেয়ে বেশি প্রতিক্রিয়া এসেছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও ইসরায়েল থেকে।
মার্কিন প্রতিক্রিয়া:
হোয়াইট
হাউসের
জাতীয়
নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন
কিরবি
এক
বিবৃতিতে বলেন,
“ইরানের এ ধরনের উন্নয়ন আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি। এটি পরমাণু অস্ত্র ছড়ানোর ঝুঁকি বাড়াবে।”
ইসরায়েলি উদ্বেগ:
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইউভ
গ্যালান্ত বলেন,
“আমরা এই
প্রযুক্তির সামরিক
প্রয়োগ
রোধে
সকল
ব্যবস্থা নিতে
বাধ্য
হবো,
প্রয়োজনে সামরিক
পদক্ষেপেও যেতে
পারি।”
ইউরোপীয় ইউনিয়ন:
ইইউ
একে
‘পারমাণবিক সমঝোতার গুরুতর লঙ্ঘন’ হিসেবে
চিহ্নিত করেছে
এবং
নতুন
করে
নিষেধাজ্ঞার হুমকি
দিয়েছে।
ইতিহাসের পটভূমি: পরমাণু কর্মসূচির সূচনা থেকে আজ পর্যন্ত
ইরানের
পারমাণবিক কর্মসূচির যাত্রা
শুরু
হয়েছিল
১৯৫০-এর দশকে, যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায়।
তবে
১৯৭৯
সালের
ইসলামি
বিপ্লবের পর
পশ্চিমা সম্পর্ক ছিন্ন
হয়ে
গেলে
ইরান
নিজস্ব
গবেষণার দিকে
ঝুঁকে
পড়ে।
২০০০-এর দশকে আন্তর্জাতিক মহল
জানতে
পারে
যে,
ইরান
গোপনে
ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ
করছে,
যার
ফলে
জাতিসংঘ ও
পশ্চিমা দেশগুলো একাধিক
নিষেধাজ্ঞা আরোপ
করে।
২০১৫
সালে
ইরান
এবং
ছয়
জাতিগোষ্ঠীর (P5+1) মধ্যে JCPOA চুক্তি হয়।
কিন্তু
ট্রাম্প প্রশাসন ২০১৮
সালে
তা
একতরফাভাবে বাতিল
করে
দিলে
ইরান
আবার
নিজস্ব
পথে
গবেষণা
বাড়িয়ে
দেয়।
JCPOA
চুক্তির ভবিষ্যৎ কী?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন,
এই
আবিষ্কারের ফলে
JCPOA-এর
ভবিষ্যৎ এখন
আরও
অনিশ্চিত।
যেখানে
চুক্তি
অনুসারে ইরানকে
৩.৬৭% ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ
রাখার
কথা,
সেখানে
এখন
তা
পৌঁছে
গেছে
প্রায়
৯০%-এর কাছাকাছি!
বিশ্লেষক জর্জ টেনেট বলছেন,
“এটা পরমাণু
বোমার
একেবারে দোরগোড়ায় পৌঁছে
যাওয়া।
ইরান
এখন
'ব্রেকআউট ক্যাপাবিলিটি' অর্জন
করেছে।"
মহাকাশ গবেষণা ও চিকিৎসায় এই আবিষ্কারের প্রয়োগ
ইরান
দাবি
করেছে,
এই
আইসোটোপ উন্নত
চিকিৎসা, বিশেষ
করে
ক্যানসার নিরাময়ে ও
মহাকাশযানে শক্তিশালী ফুয়েল
সেল
তৈরিতে
ব্যবহারযোগ্য।
তারা
এই
আবিষ্কারকে "Fusion for Peace" নামে অভিহিত করেছে।
ড.
লায়লা
মোহসেনী বলেন,
“আমরা পরমাণু
বোমা
বানাতে
চাই
না,
আমরা
পরমাণু
শক্তিকে শান্তির জন্য
কাজে
লাগাতে
চাই।”
সুরক্ষা, গুপ্তচরবৃত্তি ও সাইবার হুমকি
এই
আবিষ্কারের পর
থেকেই
ইরানের
বিভিন্ন পরমাণু
স্থাপনাকে লক্ষ্য
করে
একাধিক
সাইবার
আক্রমণের খবর
পাওয়া
গেছে।
ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা
মোসাদের পক্ষ
থেকে
‘অভ্যন্তরীণ অন্তর্ঘাতের’ প্রচেষ্টা করা
হচ্ছে
বলেও
অভিযোগ
উঠেছে।
স্মরণযোগ্য, ২০২০
সালে
ইরানের
অন্যতম
শীর্ষ
পরমাণু
বিজ্ঞানী মোহসেন ফাখরিজাদেহ কে
হত্যা
করা
হয়েছিল,
যা
ইসরায়েলের ওপর
চাপিয়ে
দেয়
তেহরান।
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া বনাম মুসলিম বিশ্বে উল্লাস
যেখানে
পশ্চিমা বিশ্ব
এই
আবিষ্কারে উদ্বিগ্ন, সেখানে
মুসলিম
বিশ্ব,
বিশেষ
করে
পাকিস্তান, তুরস্ক
ও
মালয়েশিয়া এই
আবিষ্কারে প্রশংসা করেছে।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন,
“ইসলামি বিশ্বের প্রযুক্তিগত সক্ষমতা যে
বিশ্ব
মানের,
তা
ইরান
আবারও
প্রমাণ
করল।”
বিশেষজ্ঞ বিশ্লেষণ: কী হতে পারে ভবিষ্যৎ প্রভাব?
সম্ভাব্য ইতিবাচক প্রভাব:
- চিকিৎসা প্রযুক্তিতে
বৈপ্লবিক পরিবর্তন
- জ্বালানিতে
নির্ভরতা হ্রাস
- উন্নত মহাকাশ গবেষণা
সম্ভাব্য নেতিবাচক প্রভাব:
- ইসরায়েল-ইরান যু/দ্ধের আশঙ্কা
- পারমাণবিক
প্রতিযোগিতা বাড়া
- পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার
পুনর্ব্যবহার
উপসংহার: আবিষ্কার নাকি অস্ত্রের সংকেত?
ইরানের
এই
যুগান্তকারী পরমাণু
আবিষ্কার প্রযুক্তিগতভাবে বিস্ময়কর হলেও
এর
কূটনৈতিক ও
নিরাপত্তা প্রভাব
নিয়ে
নানা
প্রশ্ন
উঠছে।
বিশ্ব
এখন
এক
অদৃশ্য
দ্বিধার সম্মুখীন—এই
প্রযুক্তি শান্তির জন্য
না
কি
যু/দ্ধের আগাম বার্তা?
শেষ কথা:
পরমাণু
প্রযুক্তি যতই
শক্তিশালী হোক,
তার
ব্যবহারই নির্ধারণ করে
তা
মানবতার আশীর্বাদ হবে
না
অভিশাপ।
ইরানের
এই
আবিষ্কার যদি
সত্যিই
শান্তির পথে
ব্যবহৃত হয়,
তবে
তা
হতে
পারে
মুসলিম
বিশ্বের জন্য
এক
নতুন
দিগন্ত। কিন্তু
যদি
এটি
সামরিক
প্রতিযোগিতার অংশ
হয়,
তবে
তা
গোটা
বিশ্বকে ঠেলে
দিতে
পারে
আরেকটি
ভয়ঙ্কর
বিপদের
মুখে।