Banner 728x90


ইরানের পক্ষে যুদ্ধে নামছে হিজবুল্লাহর সশস্ত্র গোষ্ঠী

১. পরিপ্রেক্ষিত ও সাম্প্রতিক যুদ্ধের গতি

ইসরায়েল গত ২০ জুন ইরানের পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনাগুলিতে বিমান হামলা চালায়। এতে প্রায় ৬০টি যুদ্ধবিমান ও ভিডিও প্রকাশ করেছে আইডিএফ—এর মাধ্যমে স্পষ্ট প্রতিপাদিত যে, ইরানের সামর্থ্য দুর্বল করতে চাওয়া হচ্ছে (prothomalo.com, dhakapost.com)।
এর প্রভাব হিসেবে ইরানের 'no war, no peace' নীতি এমন এক যুদ্ধে নামার পর্যায়ে পৌঁছেছে, যা এ পর্যন্ত উভয় পক্ষের কৌশলে অপ্রত্যাশিত পরিবর্তন এনেছে (ft.com)।

২. ইরান—ইসরায়েল দ্বন্দ্ব গুরুতর রূপে

ইরানের সর্বোচ্চ নেতার ঘোষণা অনুযায়ী, তারা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে "যুদ্ধ শুরু করেছে", আর যুক্তরাষ্ট্রও ফাইটার জেট মোতায়েন করেছে ইসরায়েলকে রক্ষার্থে ।
সাম্প্রতিক FT বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, এটি মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনার একটি নতুন ও আঞ্চলিক আকার ধারণের পূর্বাভাস (ft.com)।

আরও পড়তে এখানে ক্লিক করুন

৩. হিজবুল্লাহর অবস্থান ও কৌশল

প্রচলিত ধারণার উল্টো, হিজবুল্লাহ—যা ইরানের ‘অ্যাক্সিস অব রেজিস্ট্যান্স’-এর অন্যতম—তবে সরাসরি যুদ্ধে নামার ব্যাপারে আপাতত সঙ্কোচ প্রকাশ করেছে (inews.zoombangla.com)।
তবে, ইরান জানিয়েছে: ‘যদি ইসরায়েল হিজবুল্লাহকে লক্ষ্য করে পূর্ণাঙ্গ লড়াই চালায়, আমরা তাদের সর্বাত্মক সমর্থন দেব’—জেনারেল কামাল খারাজির মন্তব্য (jugantor.com)।

৪. বিশ্লেষণ: যুদ্ধের সম্ভাবনা ও আঞ্চলিক পরিণতি

  • যুদ্ধ পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রাচ্যে গভীর অস্থিতিশ্চলতা তৈরি হতে পারে, যা লক্ষাধিক মানুষকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে (banglashangbad.com)।

  • ইসরায়েল সীমান্ত—বিশেষ করে লেবানন—পর্যায়ে সংঘর্ষ পূর্বস্বরূপ উত্তেজনার সৃষ্টি হতে পারে, যেখানে ইতিমধ্যে হিজবুল্লাহ অংশ অন্তত রক্ষাত্ত্বক প্রস্তুতি নিচ্ছে।

  • যুক্তরাষ্ট্র রুঢ়পন্থী অবস্থানে রয়েছে, কিন্তু তারা সরাসরি সংঘাতে যুক্ত হতে চায় না এবং এ বিষয়ে সতর্কভাবে অবস্থান নিয়েছে (mzamin.com, banglashangbad.com)।

৫. ইউরোপ ও অন্যান্য মহাশক্তির প্রতিক্রিয়া

ইউরোপীয় ইউনিয়ন বেশ সক্রিয়ভাবে যুদ্ধবিরতির দাবিতে জোর দিয়েছে, এবং উচ্চ সতর্কতা অবস্থায় রয়েছে (mzamin.com)।
সেখানে আরও বলা হয়েছে—যদি ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহয়ের যুদ্ধ শুরু হয়, সেটা অন্তত গাজার মতো বড় সংকটে পরিণত হওয়া থেকে বিরত থাকবেই না ।



বিষয় সারমর্ম
০১. যুদ্ধ সূচনাৰ মূল ধাক্কা ইসরায়েলের বিমান হামলা—যা ইরানকে প্রদর্শন করে যুদ্ধের মাত্রা বাড়ছে।
০২. হিজবুল্লাহর ভূমিকা স্থানীয়ভাবে সরাসরি লড়াই থেকে বিরত, তবে ইসরায়েলের আক্রমণ হলে জাতীয় ভূমিকা নেওয়ার হুমকি।
০৩. আঞ্চলিক প্রভাব উত্তেজনা বৃদ্ধি, সীমান্ত সংঘাতের আশঙ্কা; লেবানন–ইসরায়েল সীমান্তে সহিংসতা বাড়তে পারে।
০৪. আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া ইউরোপ, যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য শক্তিপুঞ্জ যুদ্ধ এড়াতে চাপ প্রয়োগ করছে।
০৫. ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা আঞ্চলিক যুদ্ধ, বড় সংঘাত হবার আশঙ্কা; কূটনৈতিক উদ্যোগের বিকল্পটি এখন প্রধান আশা।

উপসংহার: বর্তমান পরিস্থিতি মধ্যপ্রাচ্যে হবে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিচ্যুতি—যদি আধুনিক যুদ্ধ এখানে ছড়িয়ে পড়ে, তা শুধু আঞ্চলিক নয় বরং বৈশ্বিক স্থিতিতেও ব্যাপক প্রভাব রাখবে। ইরান ও হিজবুল্লাহর প্রতিক্রিয়ায় সবচেয়ে বেশি নির্ভর করছে নির্বাসিত কূটনৈতিক প্রচেষ্

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url