ইসরাইলি সামরিক বিমানঘাঁটিতে হা-ম-লা, বিশাল ক্ষয়ক্ষতি, বহু সেনার মৃ-ত্যু!
ইসরাইলি সামরিক বিমানঘাঁটিতে হা-ম-লা, বিশাল ক্ষয়ক্ষতি, বহু সেনার মৃ-ত্যু!
মধ্যপ্রাচ্য ডেস্ক | জুন ৩০, ২০২৫
ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে মধ্যপ্রাচ্যের আকাশ। ইসরাইলি সামরিক বিমানঘাঁটিতে চালানো এক ভয়াবহ হা-ম-লা ইসরাইলের প্রতিরক্ষা কাঠামোয় চরম ক্ষয়ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। জানা গেছে, এ আক্রমণে বহু সামরিক বিমান ধ্বংস হয়েছে এবং কমপক্ষে ৩২ জন সেনার মৃ-ত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত করেছে আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থাগুলো।
হা-ম-লার সময় ও স্থান
ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চলের একটি কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ বিমানঘাঁটিতে এই হা-ম-লা চালানো হয় স্থানীয় সময় রাত ২টা ৪৫ মিনিটে। এই সময়টাতে বেশিরভাগ সেনা বিশ্রামে থাকায় হতাহতের সংখ্যা বেড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সূত্র জানিয়েছে, ঘাঁটিটির নাম নেভাতিম এয়ারবেস, যা বিখ্যাত F-35 যুদ্ধবিমান পরিচালনার জন্য। এখানেই সংরক্ষিত ছিল ইসরাইলের উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন স্টেলথ যুদ্ধবিমানগুলো।
হা-ম-লার ধরন ও অস্ত্র
হা-ম-লাটি ছিল সুপরিকল্পিত ও বহুমুখী। ড্রোন ও ব্যালিস্টিক মিসাইলের সমন্বয়ে চালানো এই হামলায় আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়।
-
প্রথমে ড্রোন আকাশসীমায় ঢুকে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে।
-
এরপর তিনটি ব্যালিস্টিক মিসাইল সরাসরি ঘাঁটির রানওয়ে ও হ্যাঙ্গারে আঘাত হানে।
-
বিস্ফোরণে ৮টি F-16 ও ৩টি F-35 বিমান ধ্বংস হয়।
ক্ষয়ক্ষতির বিবরণ
ঘাঁটির অভ্যন্তরীণ সূত্রে জানা গেছে—
-
রানওয়ে সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত
-
১২টি সামরিক বিমান ধ্বংস
-
বিমানঘাঁটির জ্বালানি গুদামে বিস্ফোরণ
-
৩২ জন সেনা নিহত
-
অন্তত ৬০ জন আহত, যাদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক
সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল স্যাটেলাইট ছবি
হামলার কয়েক ঘণ্টা পরেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে স্যাটেলাইট থেকে ধারণ করা কয়েকটি ছবি, যেখানে স্পষ্ট দেখা যায় ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন গোটা ঘাঁটি। বিস্ফোরণের পর সেখানে ফায়ার সার্ভিস ও হেলিকপ্টার দেখা গেছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে।
ইসরাইলি প্রতিক্রিয়া
ইসরাইলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে হামলার সত্যতা স্বীকার করলেও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক কিছু বলেনি। তারা জানিয়েছে, “এটি একটি সন্ত্রাসী রাষ্ট্রের কাজ। এর কড়া জবাব দেওয়া হবে।”
প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ত বলেন:
“ইসরাইল কোনোভাবেই চুপ করে বসে থাকবে না। এই হামলার জন্য দায়ীদের চিহ্নিত করে দ্রুত জবাব দেওয়া হবে।”
কে ছিল হামলার পেছনে?
এখনো পর্যন্ত হামলার দায় কোনো পক্ষ স্বীকার করেনি। তবে প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকরা বলছেন—
-
ইরান সমর্থিত হিজবুল্লাহ অথবা হাউথি বিদ্রোহীরা এর সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে।
-
হা-ম-লার ধরন দেখে অনেকেই ইরানের দিকেই আঙুল তুলেছেন।
-
মধ্যপ্রাচ্যে চলমান ইসরাইল-ইরান উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে এটি হতে পারে “প্রতিশোধমূলক পাল্টা হামলা”।
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া
এই ঘটনায় বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বেশ কয়েকটি দেশ ইসরাইলি ঘাঁটিতে হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন:
“মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনার এই বিস্তার মানবজাতির জন্য বিপজ্জনক। সংযমই একমাত্র পথ।”
পরিস্থিতি এখন কী?
ইসরাইলের সমস্ত সামরিক ঘাঁটিতে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। দেশজুড়ে বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা শক্তিশালী করা হয়েছে। সীমান্ত এলাকায় সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।
ইসরাইলি বিমানবাহিনী পাল্টা হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলেও গোপন সূত্র জানিয়েছে।
বিশ্লেষকদের দৃষ্টিতে
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই হামলা ইসরাইলের প্রতিরক্ষা ও গোয়েন্দা কাঠামোর জন্য এক চরম চ্যালেঞ্জ।
-
এটি কেবল বিমানঘাঁটি নয়, পুরো ইসরাইলি সামরিক মনোবলের উপর আঘাত।
-
ব্যয়বহুল যুদ্ধবিমান ধ্বংস হওয়ায় আর্থিক দিক থেকেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ইসরাইল।
উপসংহার
মধ্যপ্রাচ্যের টানাপোড়েন যেন থামছেই না। সামরিক ঘাঁটিতে এমন আক্রমণ ইসরাইলের জন্য এক দুঃস্বপ্ন। প্রশ্ন উঠছে, এত সুরক্ষিত একটি বিমানঘাঁটি কীভাবে এত সহজেই টার্গেট হলো? ইসরাইল কী এবার যুদ্ধের দিকে আরও এগিয়ে যাবে?
পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে মধ্যপ্রাচ্যের ভবিষ্যৎ।
আপডেট থাকুন | kamrul24news.com এর সঙ্গে সংযুক্ত থাকুন আরও তথ্যের জন্য।