হাইফা শহরে ইরানের হামলার পেছনে আসল কারণ কী
ইসরাইলের সাথে সংঘাতে বন্দরনগরী হাইফাকেই মূল টার্গেট করেছে ইরান। সেখানকার তেল শোধনাগার সহ বিভিন্ন স্থাপনায় চলছে ব্যাপক হামলা। প্রশ্ন উঠেছে তেলাবিবের পাশাপাশি কেন হাইফা টার্গেট? আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যম বলছে ইসরায়েলকে সামরিক ও অর্থনৈতিকভাবে দিশেহারা করতেই এ পরিকল্পনা। শ্রীলংচা আবারো রপ্তানিতে শীর্ষে। ইসরাইলে হামলার শুরুতেই দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় শহর হাইফাকে টার্গেট করে ইরান। শতাধিক মিসাইল আর ড্রোন হামলায় শহরটিতে ব্যাপক ধ্বংসযোগ্য চালায় দেশটি। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় বিভিন্ন অঞ্চল। নিহত হয় বেশ কয়েকজন ইসরাইলি নাগরিকও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যম বলছে, ইসরাইলের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এই হাইফা শহর। সামরিক, অর্থনৈতিক আর কৌশলগত দিক থেকে ইসরাইলের লাইফলাইন বলা হয় এটিকে। আর তাই এখানে হামলা চালিয়ে ইসরাইলকে শুরুতেই চাপে রাখার চেষ্টা করছে ইরান। ইসরাইলের সবচেয়ে বড় তেল শোধনাগার হাইফা এলাকায় অবস্থিত। এখান থেকেই দেশটির জ্বালানি চাহিদার অনেক বড় একটি অংশ পূরণ হয়। সামরিক যানবাহন আর সরঞ্জাম পরিচালনাতেও তেল প্রয়োজন। যেকোনো সংঘাতে তাই শুরুতেই নিশানা সাদা হয় এসব স্থাপনায়। ইরানও নিয়েছে একই রকম কৌশল। ইসরাইলের তৃতীয় বৃহত্তম শহর হাইফাতেই রয়েছে দেশটির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নৌঘাটি। পাশাপাশি হাইফা ইসরাইলের প্রধান গভীর সমুদ্র বন্দর। ইসরাইলের সামুদ্রিক বাণিজ্যের একটি বড় অংশ এখান থেকে পরিচালিত হয়। ইসরাইলের মোট পণ্য পরিবহনের প্রায় অর্ধেকই এই বন্দর দিয়ে পরিবাহিত হয়। [মিউজিক] এছাড়াও হাইফাতে অবস্থিত দেশটির বড় বড় গ্যাস ফিল্ড আর রাসায়নিক কারখানাগুলো তেলাবিবের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত। এসব স্থাপনায় হামলার মাধ্যমে ইসরাইলকে আর্থিকভাবে ক্ষতি সাধন করতে চায় তেহরান। পাশাপাশি বিশ্ব বাণিজ্যের জন্যও পোর্ট সিটি হাইফা গুরুত্বপূর্ণ। ধারণা করা হচ্ছে এর মাধ্যমে বৈশ্বিক অঙ্গনেও এই সংঘাত বন্ধে যাতে পদক্ষেপ আসে সেটা নিশ্চিত করতে চায় ইরান। প্রাণপ্রতিমকুন্ডু