Banner 728x90


রাশিয়ায় সমুদ্রতল হামলা: ১১০০ কেজি বিস্ফোরকে কেঁপে উঠল পুতিন প্রশাসন


মস্কো, রাশিয়া | বিশেষ প্রতিনিধি:

রাশিয়ায় সমুদ্রতল দিয়ে পরিচালিত এক ভয়াবহ বিস্ফোরণ হামলায় কেঁপে উঠেছে পুতিন প্রশাসন। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, হামলায় ব্যবহৃত হয়েছে প্রায় ১১০০ কেজি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন বিস্ফোরক, যা রাশিয়ার কৌশলগত একটি সামরিক ঘাঁটির কাছে সমুদ্রের নিচে বিস্ফোরিত হয়। এই ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রুশ নিরাপত্তা মহলে এবং পুতিন সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে শুরু হয়েছে জরুরি বৈঠক।

কী ঘটেছিল?


সূত্র অনুযায়ী, গত শনিবার রাত ২টার দিকে রাশিয়ার কৃষ্ণসাগর উপকূলীয় অঞ্চলের কাছে একটি শক্তিশালী সাবমেরিন ড্রোন থেকে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ভয়াবহ ছিল যে আশেপাশের ৫ কিলোমিটার জুড়ে কম্পন অনুভূত হয়। ধারণা করা হচ্ছে, এটি একটি 'নেভাল ড্রোন' বা সাবমেরিন চালিত বিস্ফোরকযন্ত্র, যা সমুদ্রের নিচে নীরবে প্রবেশ করে নির্ধারিত জায়গায় বিস্ফোরণ ঘটায়।

 কারা দায়ী?

হামলার দায়িত্ব এখনো কেউ স্বীকার করেনি, তবে রাশিয়ার সামরিক গোয়েন্দা বিভাগ এ ঘটনায় ইউক্রেনকে সন্দেহ করছে। কিছু রুশ সামরিক বিশ্লেষক মনে করছেন, এটি ইউক্রেনের আধুনিক নেভাল কৌশলের অংশ হতে পারে, বিশেষত ড্রোন-চালিত সমুদ্র হামলার ক্ষেত্রে।

প্রতিক্রিয়ায় পুতিন প্রশাসন

এই বিস্ফোরণের পরই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এক জরুরি নিরাপত্তা সভা ডাকেন। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানান, “দেশের কৌশলগত নিরাপত্তা নিয়ে এখনই নতুন পরিকল্পনা নিতে হবে। আমরা কোনও রকম হুমকিকে অবহেলা করছি না।”

রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়, “দেশের সমুদ্র সীমায় নজরদারি আরও জোরদার করা হচ্ছে। আমরা প্রযুক্তিগতভাবে প্রস্তুত আছি যেকোনও হুমকি প্রতিরোধে।”

 আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া

এই হামলার খবরে ন্যাটো, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকেও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের সমুদ্র-তলদেশীয় হামলা যুদ্ধক্ষেত্রে এক নতুন মাত্রা যোগ করছে। এটি শুধু রাশিয়া নয়, গোটা বিশ্ব নিরাপত্তার জন্য একটি নতুন ধরনের হুমকি।

 আগাম সতর্কতা ছিল?

কিছু সামরিক সূত্র দাবি করছে, রুশ সেনারা আগে থেকেই কিছু সন্দেহজনক চলাচল পর্যবেক্ষণ করছিল, তবে তারা ধারণা করেনি হামলা এতটা বিপজ্জনক হতে পারে। হামলার আগে স্যাটেলাইট চিত্রেও কিছু অস্বাভাবিক ড্রোন গতিবিধি দেখা গিয়েছিল।


উপসংহার:

সমুদ্রতল দিয়ে এমন বিস্ফোরক হামলা রাশিয়ার জন্য কেবল কৌশলগত চ্যালেঞ্জই নয়, এটি দেশটির প্রযুক্তি ও নিরাপত্তা অবকাঠামোর দুর্বলতাও তুলে ধরছে। পুতিন প্রশাসনের জন্য এটি এক বড় সতর্কবার্তা। সামনের দিনগুলোতে রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের মাত্রা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।


আরও পড়ুন:

  • ইউক্রেন যুদ্ধের ৩য় পর্যায়: রাশিয়ার নতুন সামরিক কৌশল

  • সাবমেরিন ড্রোন প্রযুক্তি: ভবিষ্যতের যুদ্ধ কীভাবে বদলে দিচ্ছে

  • কৃষ্ণসাগরে উত্তেজনা: NATO এবং রাশিয়ার মুখোমুখি অবস্থান

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url