Banner 728x90


ক্ষুধার্ত আফিয়ারা: যেখানে এক মুঠো ভাতও বিলাসিতা

 

নিষ্পাপ এ চাহনি বলে দেয় ভাতের কষ্ট কতটা অসহনীয় হতে পারে। অন্যের দয়া-দাক্ষিণে একমুঠো ভাত আর নিরামিষ সবজি। এতটুকুই অনেক কিছু হতদরিদ্র এই পরিবারটির কাছে। তবে বেশিরভাগ দিন সামান্য এই সবজি ভাতটুকুও জোটেনা তাদের কপালে। সে সময় না খেয়েই অতি কষ্টে দিন পার করতে হয় পুরো পরিবারকে। আমরা এহত খালি তিন হাত খাই না। আমরা বই থাকি। মা আমরা বাঁচছি লেচছে আমরা পেটের কান্দি মানষে ডিফেল ওগুনে আমরা বাড়িতে ছাইড়ে খাই ও তোরে বাবা মাইনষে দিলে আমার বাচ্চা খাই আমি তো খেয়ে বুঝে কথা হয় না আমার একটা রোগ মাথা ঘুরানি যেন যাই আমার মাথা ঘুরাইয়া ফালায় দেয় ভাতের কষ্ট তো আছেই জীর্ণশীর্ণ এই ঘরটিতে অনেক কষ্টে জীবন যাপন করছেন বিধবা আফিয়া ও তার সন্তানেরা সহ অসুস্থ বৃদ্ধা শাশুড়ি বৃষ্টি এলেই ভিজে যায় ঘরে থাকা সামান্য কাপড়-চোপড় একটি খাটেই কোনরকম রাত কাটে সবার এভাবেই তাদের দিন চলে যায় আধুপেটা খেয়ে আর রাত কাটে নির্ঘুম ভয়ে আমরা ঘুম না কাপড় দিয়ে লাগা থাকি ঘর ভাঙ্গা আমরা যাই না আমার ঘর ভাঙ্গা বাচ্চ বই থাকি মস টাঙ্গাইয়া মানুষের উপরে ফোনে কাগজ দেই ছাতি টাঙ্গাইয়া বাচ্চে লইয়া বই থাকি আর দিন বাবা খাইলে দুই খাইবার কোন আশা নাই মাইনষে দিলে আমার বাচ্চে খাই নাইলে আমার বাচ্চার বই থাক বাবা অভাগী আফিয়া বেগম সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক থানার বরকাপুর মাঝেপাড়া এলাকার বাসিন্দা। 2003 সালে দ্বীনমজুর লোকমান আলীর সঙ্গে বিয়ের পর তাদের ঘরে জন্ম নেয় একে একে সাত সন্তান। ছয় মেয়ে আর এক ছেলে। পরিবারে সচ্ছলতা ফেরাতে আর সন্তানদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে জায়গা জমি বিক্রি করে মালয়েশিয়ায় পাড়িও জমান আফিয়ার স্বামী লোকমান আলী। কিন্তু ভাগ্য যেন সহায় হলো না তার। দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর এক পর্যায়ে দেশে ফিরে আসেন তিনি। 2024 সালে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ক্যান্সার ধরা পড়ে তার। তখন অসুস্থ স্বামীকে চিকিৎসা করাতে গিয়ে 1 লাখ 20 হাজার টাকা ঋণ করেন স্ত্রী আফিয়া বেগম। তারপরও বাঁচাতে পারেননি তার স্বামীকে। গেছিলা বিদেশ। বিদেশ গ এক বছরের মাঝে কিছু হইল না। তারা দুই মাস ছুটি দিছি। ক্যান্সার ধরা পড়ছে। একদিকে স্বামী হারানোর বেদনা। অন্যদিকে সন্তান ও সাটর্থ শাশুড়ির ভরণপোষণ এবং ঋণের বোঝা সবকিছু মিলিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েন আফিয়া কিছুদিন আগে বাধ্য হয়ে সাত সন্তানের মধ্যে দুই মেয়েকে ঢাকার একটি বাসায় গৃহকর্মীর কাজে দেন অভাগী মা আফিয়া কিন্তু বাকি সন্তান ও বৃদ্ধা শাশুড়িকে নিয়ে কষ্টের শেষ নেই তার এমন দুঃখ দুর্দশা দেখে অনেক সময় সাধ্যমত সাহায্য করেন প্রতিবেশীরা তবে তাদের সামান্য সাহায্য অসহায় পরিবারটির একেবারেই অপ্রতুল। তাই সরকারসহ বৃত্তবানরা এগিয়ে আসলে হাসি ফুটবে হতদরিদ্র পরিবারটির মুখে। তো আপনারা দেশবাসীর কাছে প্রবাসীদের কাছে আমার আকুল আবেদন যেই ছয়টা শিশু ছোট্ট শিশুটি বুসরার মুখের দিকে তাকিয়ে হলে আপনারা উনাদের পাশে দাঁড়ান যাতে উনাদের ঘরের ঘরটা পরিবর্তন হতে পারে। উনাদের থাকার মতএকটাব্যবস্থা হতে 
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url