Banner 728x90


ইরানের পক্ষে দাঁড়িয়ে যা বললেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী


ইরানের পক্ষে দাঁড়িয়ে যা বললেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী

ইরান সম্পর্ক: এক নজরে ১. ঐতিহাসিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক

  • মালয়েশিয়া ও ইরানের মধ্যে সম্পর্ক ১৯৬৮ সাল থেকেই বিদ্যমান।

  • উভয় দেশই জোটনিরপেক্ষ আন্দোলনের (NAM) সদস্য এবং মুসলিম বিশ্বের দুটি প্রভাবশালী রাষ্ট্র।

  • সময়ের সাথে সাথে এই সম্পর্ক জোরদার হয়েছে বাণিজ্য, শিক্ষা, পর্যটন ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে।

  • আরও পড়তে এখানে ক্লিক করুন

 ২. সাম্প্রতিক সংহতি: ফিলিস্তিন ইস্যু

  • গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে মালয়েশিয়া সবসময় সরব। আনোয়ার ইব্রাহিমের নেতৃত্বে এই অবস্থান আরও জোরালো হয়েছে।

  • ইরানও গাজা ও ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থনের জন্য পরিচিত। তাই দুই দেশের মধ্যে এই বিষয়ে মতৈক্য দৃঢ় হয়েছে।

 ৩. যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলোর সমালোচনা

  • আনোয়ার ইব্রাহিম প্রকাশ্যে বলেছেন, মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রনীতি “কোনও বিদেশি শক্তির ইচ্ছা অনুযায়ী নয়”

  • ইরানের ওপর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও মালয়েশিয়া দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক রক্ষা করে চলেছে।


 কৌশলগত দৃষ্টিকোণ

ক্ষেত্র সহযোগিতা
 জ্বালানি ইরান একটি তেলসমৃদ্ধ দেশ; মালয়েশিয়াও পেট্রোলিয়াম শিল্পে আগ্রহী।
 শিক্ষা বহু ইরানি শিক্ষার্থী মালয়েশিয়ায় পড়াশোনা করেন।
 মুসলিম ঐক্য উভয় দেশই ওআইসির সদস্য এবং মুসলিম বিশ্বে নেতৃত্ব দিতে চায়।

 সাম্প্রতিক উদ্ধৃতি (২০২৫)

"আমাদের কণ্ঠস্বর অবশ্যই নির্যাতিতের পাশে থাকবে। ইরান একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে মানবতার পক্ষে অবস্থান নিচ্ছে।"
— আনোয়ার ইব্রাহিম, প্রধানমন্ত্রী, মালয়েশিয়া


মালয়েশিয়া–ইরান সম্পর্ক বর্তমানে শুধু কূটনৈতিক নয়, বরং আদর্শগত ও নৈতিক অবস্থানের দিক থেকেও দৃঢ়। গাজা সংকটের প্রেক্ষিতে এই সম্পর্ক আরও গভীর হয়েছে। এটি মুসলিম বিশ্বের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক বিন্যাসেও প্রভাব ফেলতে পারে।


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url