ইরানের পক্ষে দাঁড়িয়ে যা বললেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী
ইরানের পক্ষে দাঁড়িয়ে যা বললেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী
ইরান সম্পর্ক: এক নজরে ১. ঐতিহাসিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক
-
মালয়েশিয়া ও ইরানের মধ্যে সম্পর্ক ১৯৬৮ সাল থেকেই বিদ্যমান।
-
উভয় দেশই জোটনিরপেক্ষ আন্দোলনের (NAM) সদস্য এবং মুসলিম বিশ্বের দুটি প্রভাবশালী রাষ্ট্র।
-
সময়ের সাথে সাথে এই সম্পর্ক জোরদার হয়েছে বাণিজ্য, শিক্ষা, পর্যটন ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে।
আরও পড়তে এখানে ক্লিক করুন
২. সাম্প্রতিক সংহতি: ফিলিস্তিন ইস্যু
-
গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে মালয়েশিয়া সবসময় সরব। আনোয়ার ইব্রাহিমের নেতৃত্বে এই অবস্থান আরও জোরালো হয়েছে।
-
ইরানও গাজা ও ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থনের জন্য পরিচিত। তাই দুই দেশের মধ্যে এই বিষয়ে মতৈক্য দৃঢ় হয়েছে।
৩. যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলোর সমালোচনা
-
আনোয়ার ইব্রাহিম প্রকাশ্যে বলেছেন, মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রনীতি “কোনও বিদেশি শক্তির ইচ্ছা অনুযায়ী নয়”।
-
ইরানের ওপর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও মালয়েশিয়া দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক রক্ষা করে চলেছে।
কৌশলগত দৃষ্টিকোণ
ক্ষেত্র | সহযোগিতা |
---|---|
জ্বালানি | ইরান একটি তেলসমৃদ্ধ দেশ; মালয়েশিয়াও পেট্রোলিয়াম শিল্পে আগ্রহী। |
শিক্ষা | বহু ইরানি শিক্ষার্থী মালয়েশিয়ায় পড়াশোনা করেন। |
মুসলিম ঐক্য | উভয় দেশই ওআইসির সদস্য এবং মুসলিম বিশ্বে নেতৃত্ব দিতে চায়। |
সাম্প্রতিক উদ্ধৃতি (২০২৫)
"আমাদের কণ্ঠস্বর অবশ্যই নির্যাতিতের পাশে থাকবে। ইরান একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে মানবতার পক্ষে অবস্থান নিচ্ছে।"
— আনোয়ার ইব্রাহিম, প্রধানমন্ত্রী, মালয়েশিয়া